আপনি যদি ইউটিউবে হয়ে থাকেন এবং মনে করছেন যে আপনি ইউটিউবে একটি ক্যারিয়ার তৈরি করবেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
অনুগ্রহ করে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, এবং পরামর্শগুলো সঠিকভাবে ইমপ্লিমেন্ট করুন।
চলুন শুরু করি।
অনুগ্রহ করে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, এবং পরামর্শগুলো সঠিকভাবে ইমপ্লিমেন্ট করুন।
চলুন শুরু করি।
1. চ্যানেলের বিষয়: - (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ)
চ্যানেলের বিষয় বলতে বুঝায় যে বিষয় নিয়ে আপনি ভিডিও বানাবেন। উদাহরণস্বরূপ, আমার চ্যানেলটি দেখুন। আমি এখানে ইউটিউব টিপস, ব্লগার টিপস, কম্পিউটার টিপস ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে আপনাদেরকে সাহায্য করি।
একইভাবে, আপনিও একটিটপিক বেছে নেবেন এবং সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করা শুরু করবেন!
এখানে আরেকটি বিষয় হল যে, যে বিষয়ে আপনি সক্ষম মানে যেই বিষয়গুলোতে আপনার নলেজ রয়েছে সেইরকম কোনো একটা বিষয় আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
মনে রাখবেন এই "বিষয়"ই ভবিষ্যতে আপনার YouTube ক্যারিয়ারের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই ভেবেচিন্তে আপনাকে বিষয় সিলেক্ট করতে হবে।
2. অনুপ্রেরণা: -
আপনার অনুপ্রেরণা প্রয়োজন। কারণ প্রাথমিকভাবে, আপনার অনেক কিছু বুঝতে অসুবিধা হবে এবং কফিউশনে পরে যাবেন যে কোন বিষয় আপনার জন্য সেরা হতে পারে।
চিন্তা করবেন না এটা একেবারে স্বাভাবিক জিনিস। প্রায় প্রত্যেক টিউবারই প্রথম দিকে এই সমস্যার মুখোমুখি হন।
এই ক্ষেত্রে, আপনি অন্যান্য ইউটিউব ব্যবহারকারীদের আরও ভিডিও দেখতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দের চ্যানেলগুলি থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন এবং অবশ্যই, আপনাকে আপনার মতো একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে, তবে অন্য কারোর ভিডিও একেবারে কপি করা যাবে না।
3. ভিডিও এডিটিং:-
আপনাকে ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে যাতে আপনি সুন্দর করে বানানো, ভিডিও এডিট করে ভালো প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারেন!
আপনাকে সুপার জিনিয়াস ভিডিও এডিটিং এক্সপার্ট হতে হবে না, ভিডিও এডিটিং এর বেসিক জিনিসগুলো শিখে নিতে পারলেই আপনি আপনার ভিডিওর জন্য খুব ভালো এডিটিং করতে পারবেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে Camtasia এবং Adobe Premiere Pro ব্যবহার করি।
4. ইকুইপমেন্ট বা সরঞ্জাম:
উচ্চ-মানের কন্টেন্ট তৈরি করতে আপনার কিছু মৌলিক যন্ত্রের প্রয়োজন! যেমন ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, লাইট সেটআপ, ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং একটি পিসি বা ল্যাপটপ।
বিশেষ করে আপনি যদি ক্যামেরার সামনে শুট করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই মৌলিক যন্ত্রগুলো নিতে হবে।
আর ক্যামেরার সামনে স্যুট না করলে খুব একটা দরকার নেই! যেমন, লাইটিং সেটআপের প্রয়োজন নেই, ট্রাইপডের প্রয়োজন নেই, ক্যামেরার প্রয়োজন নেই,
শুধু স্ক্রিন রেকর্ডিং সফটওয়্যার এবং মাইক্রোফোন, একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে!
আমি আপনার জন্য সাজেস্ট করবো, শুরুতে এই ক্যামেরা, লাইটিং সেটআপ, ভিডিও সেটআপ এগুলোর পেছনে অনেক টাকা খরচ করতে হবে না। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি কিনেই ইউটুব শুরু করে দেন।
5. কপিরাইট: -
কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়!
অনলাইনে কপিরাইট আইনের নিয়ম না মানলে সর্বত্রই ধরা পড়বেনা। আপনি হয়তো অনেক জায়গায় শুনেছেন যে অনেক অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়,
ব্যান্ড হয়ে যায়, অ্যাডসেন্স ডিজেবল হয়ে যায়, ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হয়, এর কারণ তারা কপিরাইট নিয়ম মানে নি।
কপিরাইট নিয়ম না মানলে কোনো কোম্পানিই আপনাকে অনলাইনে কাজ করতে নিবে না। অনলাইনে কপিরাইট একটি গুরুতর অপরাধ।
তবে টেনশনের কোনো কারণ নেই, কপিরাইট আইন ভালোভাবে জানতে পারলে আপনার কোনো ভয় থাকবে না।
চ্যানেলটি কখনই সাসপেন্ড করা হবে না, এডসেন্স অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হবে না এবং কোন মার্কেটপ্লেসে আপনাকে সাসপেন্ড করবে না!
অনলাইনে অনেক ফ্রি রিসোর্স আছে এবং প্রিমিয়াম রিসোর্সও আছে। কিছু প্রিমিয়াম রিসোর্স আপনি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন এর বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না।
একইভাবে, আপনি আপনার ভিডিওতে প্রচুর ফ্রি রিসোর্স ব্যবহার করতে পারেন, এবং অনেক কিছু আপনি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারবেন না।
সুতরাং, এই ধরনের কপিরাইট নিয়ম আসলে একটি খুব বিভ্রান্তিকর নতুনদের জন্য। কিন্তু চিন্তা করবেন না আস্তে আস্তে সব শিখে যাবেন।
6. ভিডিও থাম্বনেইল: -
ভিডিওতে ছবিটিকে বলা হয় থাম্বনেইল। দেখুন, যখন আমি কোনো ভিডিও দেখার জন্য চিন্তা করি তো প্রথমে আমরা ভিডিওটির থাম্বনেইলটি দেখতে পাই।
তারপর আমার পছন্দ মতো ভিডিওটিতে ক্লিক করে ভিডিওটিতে কী আছে সেটা দেখি। এই জন্য ভিডিও থাম্বনেইল ডিজাইনটি বেশ ভালো হতে হবে, এর জন্য আপনাকে এক্সপার্ট ডিজাইনার হতে হবে না।
অনলাইনে কিছু টুল আছে যেগুলো দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন।
এমন একটি সাইট হলো Snappa, Canva. এগুলি ফ্রি সফ্টওয়্যার, শুধু সাইন আপ করুন এবং আপনার স্ক্রিনে এডিটিং প্যানেলটি দেখতে পাবেন।
এটি ব্যবহার করা খুব সহজ এবং এটি ব্যবহার করে আপনি ভাল এবং পেশাদার স্তরের থাম্বনেইল এবং গ্রাফিক ডিজাইন তৈরি করতে পারেন!
এই বিষয়ে ইউটুবে অনেক ভিডিও পরে রয়েছে। সেগুলো দেখতে পারেব।
7. Video SEO: - (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান)
ভিডিও এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় আপনার চ্যানেলের জন্য।
আপনাকে এসইও করতে হবে যাতে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা আপনার বিষয় সার্চ করার সময় আপনার ভিডিও খুঁজে পেতে পারে।
তাহলে আপনার ভিডিওর ভিউস বাড়তে থাকবে, এখন আপনি কিভাবে আপনার ভিডিও SEO করবেন, এই বিষয়ে অনেক ভিডিও ইউটুবে রয়েছে, আপনি সেগুলি দেখতে পারেন।
8. অন্যদের সাথে তুলনা: -
আপনি কখনই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না। আপনি ইউটিউবে কাজ করুন বা অন্য কোন কাজ করুন, আপনি মনে রাখবেন যে আপনি যতই দক্ষ হোন না কেন, আপনার চেয়ে ভালো কেউ রয়েছে।
ঠিক একইভাবে ইউটিউবে কাজ করতে এসে দেখবেন ইউটিউবে আপনার থেকে অনেক ভালো ভালো ক্রেটার রয়েছে যাদের কন্টেন্ট কোয়ালিটি ভালো, যাদের কনফিডেন্স লেবেল অনেক ভালো,
কিন্তু মন খারাপ করলে চলবে না। যখনই আপনি নিজেকে তাদের সাথে তুলনা করবেন তখনি আপনার মন ভেঙে যাবে এবং কনফিডেন্স লেবেল কমে যাবে। তাই ওসব চিন্তা না করে কাজ চালিয়ে যান।
YouTube-এ দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য পেতে কখনই অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা করে আপস করবেন না। কারণ শুরুতে সবাই ভুল করে থাকে।
9. ভুলকে ভয় করবেন না:
ভুল আমাদের জীবনের একটা অংশ। জীবনে ভুল করেননি এমন কোনো মানুষই পাওয়া যাবে না।
কাজ করতে এলে দেখবেন দু চারটা ভুল হবেই। ক্যামেরার সামনে বলতে কিছু চাইবেন বলে কিছু ফেলবেন, কোটা বলতে বলতে আটকে যেতে পারে, এমন দু-একটা মিস্টেক থাকবেই।
এটা প্রত্যেক মানুষের শুরু শুরুতে হয়, অন্যরা কি বললো বা কি ভাববে এসব নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করবেন না। ভুল হলে সেটাকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং প্রতিনিয়ত ভিডিও বানাতে থাকবেন। দেখবেন একসময় সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে।
10. খারাপ মন্তব্য:- (নেতিবাচক সমালোচনা)
আপনার ভিডিওতে অন্যদের খারাপ কমেন্ট পেয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ ইউটিউব একটি পাবলিক প্লেস।
আপনি যখন ভিডিও প্রকাশ করেন, তখন আপনি জানেন না যে কে কে আপনার ভিডিও দেখবে তাই যে কেউ আপনার ভিডিওতে মন্তব্য করতে পারে।
প্রতি 100 জনের মধ্যে 10-15 জন খারাপ মন্তব্য করতেই পারে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু দেখবেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাবেন।
তাই আপনি যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পান তাতে মনোনিবেশ করুন! এবং এগিয়ে যান। তাহলে দেখবেন আপনি অস্বস্তি বোধ করছেন না।
আপনি দেখবেন প্রতিটি ইউটুবারের ভিডিওর নিচে নেতিবাচক সমালোচনা আছে। নেতিবাচক সমালোচনা মানে... কেউ আপনার কমেন্ট বক্সে এসে বাজে ভাষা ব্যবহার করেছে বা খারাপ মন্তব্য করেছে।
তাই আপনি খারাপ কমেন্ট বা প্রতিক্রিয়াই মাথা না ঘামিয়ে আপনার কাজ করে যাবেন।
তো বন্ধুরা, আজকের লেখাটি এখানেই শেষ করলাম।
আপনার যদি ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তবে নীচে কমেন্টে জানাতে পারেন। আমি রিপ্লে দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
No comments:
Post a Comment
Thanks for comment us.